দুনিয়াপ্রীতি আর যতভীতি
দুনিয়াপ্রীতি শুধু সম্পদ ও পদের মোহকেই বলে না বরং ইহজীবনে যে কোন অবৈধ কামনাকে পূর্ণ করার প্রচেষ্টা ও আকাঙ্খাকেই দুনিয়াপ্রীতি বলে। ইসলামের দৃষ্টিতে এই দুনিয়াপ্রীতি আপনার জন্য যত ভীতির কারণ হতে পারে। আপনি দিনরাত পরিশ্রম করেই চলেছেন এই মোহের পেছনে। অন্য কিছু করার সুযোগ কোথায়, কোথায় আপনার পরকাল, সুন্নাত আর ফরজ।
দুনিয়ার জীবন অতিখুদ্র জীবন, এজীবন অতিনশ্বর, আর এর পেছনে ছুটাছুটি করাও নির্বোধের কাজ। এই ইহকাল যেমন সীমিত তেমনি এর প্রয়োজনীয়তাও হবে সীমিত। যতটুকু ক্ষিধা লাগে ততটুকুই খাওয়া উত্তম।
দুনিয়ার জীবনের নিন্দাবাদ করে মহান আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন “দুনিয়ার জীবনের সবকিছুই ধোঁকার সামান।” (সূরা আল ইমরান, আয়াত- ১৮৫) অর্থাৎ এখানে সবকিছুই সীমিত এবং সবকিছুই সাময়িক এখানে স্থায়ী বলতে কিছুই নেই।
দুনিয়ার জীবন কতটা সাময়িক এটা বুঝানোর জন্য আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সূরা হাদীদে ইরশাদ করেছেন যে, “দুনিয়ার আসবাবপত্র গুলো রং তামাশা ও খেলাধুলা ছাড়া আর কিছুই নয়।” (সূরায়ে হাদীদ, আয়াত-২০) অর্থাৎ এখানকার বাড়ি ঘর, দালান কোঠা, প্রাসাদ এসবই ঠুনকো, ভঙ্গুর।
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, দুনিয়া হল একটি মরা জন্তু, যারা এটাকে লক্ষবস্তু বানিয়েছে তারা হল কুকুরের দল বা মৃত জন্তু বক্ষনকারী পশুর দল। দুনিয়ার ভোগ বিলাসকে উদ্দেশ্য না করে দুনিয়াকে পরকালের প্রস্তুতির ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন দুনিয়া পরকালের খেত স্বরূপ। এখানে যা করবে সেখানে তাঁর ফল পাবে। ভালো করলে পরিণাম ভালো হবে আর খারাপ করলে খারাপই হবে। তাই ভেবে চিন্তে দেখুন,কি করবেন আপনি।
আপনি হয়তো ভাবছেন, এখন আমার বয়স কম আরো কটা বছর গেলেই ভালো হয়ে যাবো, গুনাহের কাজ ছেড়ে দেবো, কিন্তু আপনি যে আরো এক দিন এই পৃথিবীতে বাঁচবেন সেই নিশ্চয়তা কে দেবে। আপনি যে বিয়ে করা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবেন সেই গ্যারান্টি কে দেবে?
No comments