কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায়

Easy way to relieve constipation




মল অধিক সময় ধরে মলাধারে জমা থাকলে অর্থাৎ নিয়মিত মলত্যাগ না করতে পারলে, মল থেকে পানি শোষিত হওয়ার ফলে পানি বের হয়ে যাওয়ায় মল দিনে দিনে শক্ত আকার ধারণ করে, একেই বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। 

এর সব কিছুর একমাত্র প্রাকৃতিক সমাধান অধিক মলবর্ধক খাদ্য মূলত শাকসবজি, ফলমূল ও দুধ-দধি ও আস্ত শস্যদানার খাদ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা। এই খাদ্যবস্তুগুলো কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রধান উপাদানও বটে। আজ আমরা এমন কিছু উপাদান নিয়ে আলোচনা করবো যা থেকে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের পীড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


কিছু বিষয় অবশ্যই বর্জন করত হবে 
পনির, তেলে ভাজা খাবার, মিষ্টি, চিনি, গুড়, লবণ জাতীয় খাবার, গরু-খাসির মাংস, সব ধরনের ফাস্টফুড (জাংক ফুড), সফট ড্রিংক, বিচিকলা, কফি ইত্যাদি খাবার বর্জন করতে হবে।  

বেগ হলে কখনো টয়লেটে যেতে দেরি করবেন না। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের জন্য মেডিসিন/ডুস ব্যবহার না করাই উত্তম। কমোড টয়লেট ব্যবহার না করে প্যান টয়লেট ব্যবহার করা বিজ্ঞানসম্মত ও প্রাকৃতিক। এতে অর্শ রোগের প্রবণতাও কমে। টয়লেটে আপনি খুব রিলাক্স থাকবেন। কোনোরূপ শক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করবেন না। টয়লেটে যাওয়ার পর টয়লেট হওয়ার জন্য ৫ মিনিটের বেশি সময় অপেক্ষা করবেন না ।  


শস্যদানা যেমন- লালচাল, লালআটা ও আস্ত ডাল খেলে প্রচুর খাদ্যতন্ত্র/ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যেতে পারে। ইসবগুলের ভুসি, তোকমা দানা, তিসির খৈল, তিসি বাটা, শর্ষে বাটা, তিল ভাজা (ছালসহ) কাসুন্দি এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এমন আরো কিছু উপাদান আছে যেগুলো আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে,
✓ তিসি'র বীজ 
তিসিতে প্রচুর দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী। তিসির সাধারণত বেশি তীব্র গন্ধ বা স্বাদ নেই বলে তা সবার কাছেই বেশি গ্রহণযোগ্য হয়। তিসিকে হালকা ভেজে ব্যবহার করতে হয়, তিসি ব্যবহার করে আচার কাসুন্দি তৈরি করা যেতে পারে, ভর্তা করেও খাওয়া যেতে পারে।  


✓ শাকসবজি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে 
ফাইবার সমৃদ্ধ এসব খাবার প্রথমে শুরু করার সময় অল্প অল্প করে শুরু করতে হবে। বিশেষ করে যারা পূর্বে ফাইবার জাতীয় খাদ্য বেশি গ্রহণে অভ্যস্ত নন। তাদের হলে পেটে গ্যাস উৎপন্ন হয়ে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ১-২ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে পেটে গ্যাস উৎপন্ন হওয়া কমে যায়।  
✓ প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করুন। * প্রতিদিন এক গ্লাস বেলের জুস খাওয়া বেশ উপকারী।  


✓ প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট স্বাভাবিক গতিতে হাঁটা, সাঁতরানো, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, বাগানে কাজ করা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
✓ দুধ এবং দই মলবর্ধক হওয়ায় অবশ্যই খেতে হবে।
✓ মিষ্টি আলু একটু বেশি পরিমাণে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।  
✓ কচু, কচুর মুথি, লতা, ডাঁটা ও পাতা পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।  
✓ ঘৃতকুমারীর শাঁস পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক থেকে দুই গ্লাস পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে।  


প্রতিদিন ৫ মিনিট করে পেটের জন্য যোগব্যায়াম করুন। শ্বাস নিতে নিতে পেট ফুলান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পেট ভিতরে ঢুকান। আপনি টয়লেটে বসেও তা করতে পারেন। এই ব্যায়ামটি আপনার পেটের ভেতরে জমে থাকা গরম বায়ু এবং গ্যাস্টিক উপশম করবে। মোটামুটি এগুলো দেখে শুনে চলতে পারলেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে। 


No comments

Powered by Blogger.