নামাযের ১৪টি ওয়াজিব || ভঙ্গ হলেই সেজদা সাহু দিতে হবে






নামাযে ফরজ সুন্নাতের মতোই চৌদ্দটি ওয়াজিব রয়েছে, তবে হুকুমে পার্থক্য রয়েছে। নামাযে ওয়াজিব ভঙ্গ হলে নামায হবে না। এটি ফরজের মতোই বাধ্যতামূলক। তবে ফরয এবং ওয়াজিবের মধ্যে পার্থক্য হলো ফরজ ভঙ্গ হলে আপনার নামায একদম হবেই না, পুণরায় সেই নামায পড়তে হবে, আর ওয়াজিব ভঙ্গ হলে সেজদা সাহু দিলে নামায হয়ে যাবে।


✓ ১৪টি ওয়াজিব 
১. সূরায়ে ফাতিহা পূর্ণ পড়া। (বুখারী হা: নং ৭৫৬)
২. সূরাহ ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা কিংবা ছোট তিন আয়াত অথবা বড় এক আয়াত মিলানো। (বুখারী হা:   নং ৭৭৬, মুসলিম হা: নং ৪৫১)
৩. ফরযের প্রথম দুই রাকাআতকে ক্বিরাতের জন্য নির্ধারিত করা। (বুখারী হা:   নং ৭৭৬, মুসলিম হা: নং ৪৫১)


৪. সূরায়ে ফাতিহাকে অন্য সূরার আগে পড়া। (তিরমিযী হা: নং ২৪৬, ত্বহাবী হা: নং ১১৭২)
৫. নামাযের সকল রোকন ধীর স্থীরভাবে আদায় করা। (আবূ দাউদ হা: নং ৮৫৬-৮৫৮)
৬. প্রথম বৈঠক করা। (বুখারী হা: নং ৮২৮)


৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া। (বুখারী হা: নং ৮৩০,৮৩১, মুসলিম হা: নং ৪০২, ৪০৩)
৮. প্রত্যেক রাকাআতের ফরয এবং ওয়াজিবগুলোর তারতীব বা সিরিয়াল ঠিক রাখা।
৯. ফরয ও ওয়াজিবগুলোকে স্ব-স্ব স্থানে আদায় করা। (বাদায়িউস সানায়ে: ১/৬৮৯)
১০. বিতরের নামাযে তৃতীয় রাকাআতের ক্বিরাতের পর কোন দুআ পড়া। অবশ্য দুআয়ে কুনূত পড়লে ওয়াজিবের সাথে সাথে সুন্নাতও আদায় হয়ে যাবে।
১১. দুই ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা। (আবূ দাউদ হা: নং ১১৫৩)


১২. দুই ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাকাআতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার পর রুকুর জন্য ভিন্নভাবে তাকবীর বলা। (ইবনে আকি শাইবা হা: নং ৫৭০৪)
১৩. ইমামের জন্য যুহর আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নাত ও নফল নামাযে কিরা‘আত আস্তে পড়া, এবং ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমু’আ, দুই ঈদ, তারাবীহ ও রমাযান মাসের বিতর নামাযে  কিরা‘আত শব্দ করে পড়া। (মারাসীলে আবী দাউদ হা: নং ৪১, মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক হা: নং ৫৭০০ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা হা: নং ৫৪৫২)
১৪. সালামের মাধ্যমে নামায শেষ করা। (আবূ দাউদ হা: নং ৯৯৬)


তিনটি সময় আছে যখন যেকোনো ধরণের নামায, জানাযার নামায ও সিজদায়ে তিলাওয়াত নিষেধ,
১. সূর্য উঠার সময়।
২. সূর্য যখন মাথার ঠিক উপরে থাকে তখন। (ক্যালেন্ডারে দ্বিপ্রহর বলে এই সময়কে বুঝানো হয়)
৩. সূর্য অস্থ যাওয়ার সময়। তবে ঐদিনের আসর না পড়ে থাকলে এই মাকরূহ ওয়াক্তে পড়া যাবে। (আল বাহরুর রায়েক ১/৪৩২-৩৩)


তিনটি সময় এমন, যখন নফল নামায পড়া মাকরূহ। তবে ঐ সময়ে কেউ উমরী কাযা পড়তে চাইলে পড়তে পারবে।
১. ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর ফজরের সুন্নাত ছাড়া অন্য কোনো সুন্নাত বা নফল পড়া যায় না। এমনিভাবে ফজরের ফরয নামায পড়ার পর থেকে নিয়ে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত কোনো নফল নামায পড়া যায় না।
২. সূর্য্য যখন উঠতে শুরু করে তখন থেকে ১৫ মি. পর্যন্ত নফল নামায পড়া যায় না।
৩. আসরের নামায পড়ার পর থেকে সূর্য অস্থ যাওয়া পর্যন্ত কোনো নফল পড়া যায় না। (আল বাহরুর রায়েক ১/৪৩৭)


No comments

Powered by Blogger.