দিনে দু'বার এবং দু'মিনিটের বেশি ব্রাশ করা বিপদজনক

 
Brushing twice a day and for more than two minutes is dangerous




আপনি যদি দিনে দুবারের বেশি ব্রাশ করেন বা খুব জোরালোভাবে বা শক্ত-ব্রিস্টল ব্রাশ ব্যবহার করেন, তাহলে এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দাঁত সুস্থ রাখতে দুই মিনিট করে ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে দিনে দুবার ব্রাশ করাই সর্বোত্তম পদ্ধতি। তাই আজ থেকে দিনে দুইবার এবং দুই মিনিটের বেশি ব্রাস একদমই নয়। 


প্রতিদিন যদি দাঁত ব্রাশ না করেন এবং ফ্লস না করেন, তাহলে মুখের মধ্যে খাবারের কণা জমা হয়, যা দাঁতের মধ্যে, মাড়ির চারপাশে এবং জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে। ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, দাঁতের স্বাস্থ্য দুর্বল হলে মাড়িরও প্রদাহ হয়। এটি খুব দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে মাড়ির নানা রোগ দেখা দেয়।


বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তিনটি কাজ যদি ব্রাস করার সময় করেন, তাহলে আপনার দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হতে বেশি দেরি হবেনা,
১. যদি আপনি দিনে দুই বারের বেশি ব্রাস করেন
২. যদি আপনি দুই মিনিটের বেশি সময় ধরে ব্রাস করেন
৩. যদি আপনি খুব জোরে জোরে, হাতের শক্তি দিয়ে চেপে ব্রাস করেন।


ঠিকমতো দাঁত পরিষ্কার না করলে অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। দাঁতের সঠিক যত্ন না নিলে হৃদরোগের ঝুঁকিও ৭০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই প্রতি দিন সঠিক নিয়মে, সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাস করতে হবে। 


বিশেষজ্ঞরা আরো মনে করেন, তিনটি কাজ যদি ব্রাস করার সময় না করেন, তাহলে আপনার দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হতে বেশি দেরি হবেনা,
১. উপর নিচ সোজাসুজি করে ব্রাস না করলে
২. ব্রাস করার পর ফ্লস না করলে
৩. ভালো করে মুখ পরিষ্কার না করলে। 


দাঁতের যত্ন নিতে দিনে অন্তত দুই বার ব্রাশ এবং ফ্লস করার পাশাপাশি কমপক্ষে প্রতি ছয় মাস পর পর একজন দন্ত বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত। মুখ ও দাঁতের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। 


আপনার মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া, বিশেষ করে যখন আপনার মাড়ির রোগ (তীব্র মাড়ির প্রদাহ বা দীর্ঘস্থায়ী পিরিয়ডোনটাইটিস) রক্তের প্রবাহে, হৃদপিণ্ডে প্রবেশ করতে পারে এবং সরাসরি দুর্বল হার্টের ভাল্বকে সংক্রমিত করতে পারে, যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। তাই ভালো ভাবে ব্রাস করার বিকল্প নেই। 

No comments

Powered by Blogger.