তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত, যাওয়াল, আউয়াবীন নামাযের সঠিক সময়

Correct timing of Tahajjud, Ishraq, Chasht, Gwal, Awwabeen prayers




Correct timing of Tahajjud, Ishraq, Chasht, Gwal, Awwabeen prayers



নামায আমাদের প্রথম স্তম্ভ। যত বেশি নামাযের প্রতি অনুরাগী হবে মুসলমানগণ তত‌ই মজবুত আর শক্ত হবে ইসলামের মূল ভিত্তি। ফরজ নামায দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত, এর আগে পরে রয়েছে কিছু সুন্নাত, এই হলো মূল ভিত্তির পঞ্চনামা। এছাড়াও আরো কিছু নামায রয়েছে যেগুলো যত বেশি পড়বেন তত‌ বেশি আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যাবে। আপনার আমল নামায় যোগ হবে। আপনার আখেরাতের মুক্তির পথ তরান্বিত হবে। 



✓ তাহাজ্জুদ‌ নামাযের সঠিক সময় 
এই নামায রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়। উত্তম হলো শেষ রাতে পড়া। নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন পূর্ণ সুস্থ ছিলেন তখন আট রাকা‘আত পড়তেন। যখন একটু বয়স বাড়লো তখন ছয় রাকা‘আত পড়তেন। যখন আরো বয়স বাড়লো, শরীর ভারী হয়ে গেল তখন চার রাকা‘আত পড়তেন। এই নামায ৪-৮ রাকা‘আত পড়তে হয়। 


বিশেষ কারণে কেউ যদি এই নামায উত্তম সময়ে পড়তে না পারে তাহলে সে যদি ইশার সুন্নাতের পর বিতিরের আগে দুই চার রাকা‘আত তাহাজ্জুদের নিয়তে পড়ে নেয় তাহলে আশা করা যায় এতেও আল্লাহ তা‘আলা তাকে তাহাজ্জুদের নেকী দান করবেন। (গুনইয়াতুল মুতামালি পৃ. ৪৩২)


✓ ইশরাক নামাযের সঠিক সময় 
সূর্য উঠা শুরু হওয়া থেকে নিয়ে ১৫-২০মি. পর এই নামাযের সময় শুরু হয় এবং দ্বিপ্রহর পর্যন্ত এর সময় থাকে। সময় হওয়ার পর পর ইশরাক পড়া ভাল। এই নামায নফল। দুই চার রাকা‘আত যা পারা যায় পড়লেই হবে। এই নামায যে পড়ে, সারা দিনের সমস্ত প্রয়োজনে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য যথেষ্ট।(আততারগীব ওয়াত তারহীব হা. নং ১০০৯)


✓ চাশত নামাযের সঠিক সময় 
ইশরাক এবং চাশতের নামাযের সময় এক। তবে বেলা এগারটার দিকে চাশতের নামায পড়া ভাল। চাশতের নামায সর্বোচ্চ বার রাকা‘আত। এই নামাযও নফল।
এই নামায পড়লে অনেক সাওয়াব পাওয়া যায়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১২৪)


✓ যাওয়াল নামাযের সঠিক সময় 
যখন যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় তখন সাথে সাথে যাওয়ালের ওয়াক্ত শুরু হয়। যাওয়ালের নামায ২-৪ রাকা‘আত। এই নামাযকে দিনের বেলার তাহাজ্জুদ বলা হয়। এর নেকীও তাহাজ্জুদ নামাযের মতো এবং হাদীসে এসেছে, এই সময়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আসমানে সব দরজা খুলে দেন। 
(আততারগীব ওয়াত তারহীব হা. নং ৮৫৭,৮৫৯,৮৬২)


✓ আউয়াবীন নামাযের সঠিক সময় 
মাগরিবের ফরযের পর এই নামায পড়তে হয়। মাগরিবের দুই রাকা‘আত সুন্নাত ছাড়া ছয় রাকা‘আত পড়তে পারলে উত্তম। তবে মাগরিবের দুই রাকা‘আত সুন্নাতসহ পড়লেও হবে। (গুনইয়াতুল মুতামালি পৃ. ৪৩০)


নামায শুধু পড়লেই হয় না, নামায পড়তে হয় মন প্রান স্থির করে, পৃথিবীর সব ক্লান্তি ভুলে, আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায়। নামায আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রধান হাতিয়ার। তাই আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সবাইকে বেশি করে,মন প্রান স্থির করে নামায পড়ার তৌফিক দান করুন। 



No comments

Powered by Blogger.