শরিয়তের উৎস চারটি

Islamic four foundation


A N I 
THE ISLAMIC KNOWLEDGE
ISLAMIC FOUR FOUNDATION
LEVELED : FOUR POINT
শরিয়তের চারটি উৎস ।

【1】আল কোরআন ।
【2】সুন্নাতে রাসূলুল্লাহ।
【4】ইজমা (আইনজ্ঞদের ঐক্যমত)। 
【4】কিয়াস (যৌক্তিক সাদৃশ্য) ।

ইসলাম ধর্ম হলো শান্তির ধর্ম। এই ধর্ম অনেক সাজানো গোছানো পরিপাটি। এই মহান ধর্মের অনুসারী হ‌ওয়া অত্যন্ত সৌভাগ্যের। ইসলাম ধর্ম শুরু থেকেই একদম পরিছন্ন এবং পরিপাটি। এখানে মনগড়া কোন নিয়ম কিংবা মতবাদের জায়গা নেই যা কিছু হবে কোরআন এবং হাদিসের আলোকে হবে । এই দুই উৎস ছাড়াই যাদের মত এবং সুন্দর সমাধান ইসলাম সমর্থন করেন তারাও এই কোরআন হাদীসের আলোকেই বলে থাকেন। এরই ভিত্তিতে ইসলামী শরিয়তের উৎস চারটি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

【1】আল কোরআন । 
আল্লাহর ফেরেশতা জিব্রাইল এর মাধ্যমে ইসলামিক নবী মুহাম্মাদ এর কাছে মৌখিকভাবে কুরআনের আয়াতগুলো অবতীর্ণ করেন, দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়। কুরআনের প্রথম আয়াত অবতীর্ণ হয় ৬০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর যখন মুহাম্মাদের বয়স ৪০ বছর এবং অবতরণ শেষ হয় মুহাম্মাদের তিরোধানের বছর অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে থাকেন কুরআন হচ্ছে মুহাম্মাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিক ঘটনা যা তার নবুয়তের প্রমাণস্বরূপ এবং ঐশ্বরিক বার্তা প্রেরণের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায় যা আদম থেকে শুরু হয়ে মুহাম্মাদের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। তবে সুফিবাদের অনুসারীরা বিশ্বাস করে থাকেন মুহাম্মাদের সকল কর্মকান্ডে উম্মতের কাছে বোধগম্য করে তোলার জন্যই কুরআন অবতীর্ণ করা হয়। কুরআনের আয়াতসমূহে কুরআন শব্দটি ৭০ বার এসেছে।

【2】সুন্নাতে রাসূলুল্লাহ। 
সাহাবীগণ ইসলামের সর্বশেষ নবীর কথা ও কাজের বিবরণ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে স্মরণ রাখতেন। আবার কেউ কেউ তার অনুমতি সাপেক্ষে কিছু কিছু হাদীস লিখে রাখতেন। এভাবে তার জীবদ্দশায় স্মৃতিপটে মুখস্ত করে রাখার সাথে সাথে কিছু হাদীস লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ ছিল। হযরত আলী, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, হযরত আনাস ইবনে মালিক প্রমুখ সাহাবীগণ কিছু কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। হযরত আবূ হুরায়রা বলেন “আবদুল্লাহ ইবনে আমর ব্যতীত আর কোন সাহাবী আমার অপেক্ষা অধিক হাদীস জানতেন না। কারণ, তিনি হাদীস লিখে রাখতেন আর আমি লিখতাম না।”

【4】ইজমা (আইনজ্ঞদের ঐক্যমত)। 
ইজমা একটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ কোন বিষয়ে সকল ‍জনগণ একমত হওয়া। ইমাম যুবাইদী হানাফী বলেন এবং ইজমা অর্থাৎ উম্মাতের ইজমাঃ ঐক্যমত, একমত পৌছানো।
ইমাম আবু হানীফা বলেন,"ইসলামী শরীয়াতের কোন হুকুমের ব্যাপারে একই যুগের সকল মুজতাহিদদের একমত হওয়াকে ইজমা বলে"।

【4】কিয়াস (যৌক্তিক সাদৃশ্য) । 
কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার পর এর অবস্থান। এই তিন উৎসতে নেই এমন কোনো বিষয়ের মাসয়ালা বা বিধান অনুমান করে নির্ণয় করাকে কিয়াস বলে। ইসলামী বিধিবিধান নির্ণয়ের জন্য প্রথমত কুরআন ও সহীহ হাদীসের উপর নির্ভর করা হয়। সহীহ হাদীস হল নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের বর্ণিত হাদীস। কুরআন, হাদীস, হাদীসের সনদ ও পরিভাষা, তাফসীর, উসুলুল ফিকহ, আরবি ব্যাকরণ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিরা ইসলামের বিধিবিধান নির্ণয় করেন। কখনও কখনও এমন বিষয়ের বিধান নির্ণয় করার প্রয়োজন হয় যে বিষয়ে কুরআন ও সহীহ হাদীসে সরাসরি কোনো বক্তব্য জানা থাকে না। এ ধরনের অবস্থায় কিয়াস বা অনুমানের উপর নির্ভর করে বিধিবিধান নির্ণয় করা হয়।
From wikipedia.



THANK YOU ALL
A N I _____

No comments

Powered by Blogger.