ইমাম হাসান (রা.) এর জীবনী

Imam hassan life biography


ইমাম হাসান (রা.) এর জীবনী ।


■ সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ।
নাম : হাসান ইবনে আলী
জন্ম : ৪ঠা মার্চ ৬২৫ / ১৫ রমজান ৩ হিজরী
মৃত্যু : ৯ বা ৩০ মার্চ ৬৭০ / ৭ সফর বা ২৮ সফর ৫০ হিজরী ।
জন্ম স্থান : মদিনা, সৌদি আরব ।
মৃত্যু স্থান : কারবালা, ইরাক ।
বয়স : ৪৭ বছর বয়স ।
পিতার নাম : হযরত আলী ( রাঃ )
মাতার নাম : হযরত ফাতিমা ( রাঃ )
উপাধী সমূহ : সিবত, সাইয়্যেদ, যাকি, মুজতবা উল্লেখযোগ্য ।
কুনিয়াহ্ : আবু আবদিল্লাহ্। মহানবী (সা.) ইমাম হুসাইনের জন্য এ কুনিয়াহটি পছন্দ করেছিলেন। এছাড়া ‘আবুল আয়িম্মাহ্’ । আবাল মাসাকিন । আবাশ্ শুহাদা ইত্যাদি ।


মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম হাসান (রাঃ)ও ইমাম হাসান (রাঃ) কে অত্যন্ত ভালবাসতেন। তিনি বারবার বলতেন হাসান ও হুসাইন আমার সন্তান। আমিরুল মু’মিনীন আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ)ও তাঁর সন্তানদের কথাকে স্মরণ করে নিজের অন্যান্য সন্তানদেরকে বলতেন: তোমরা আমার সন্তান এবং হাসান ও হুসাইন আল্লাহর রাসূলের এর সন্তান।

■ ইমাম হাসানের বাল্যকাল । 
সাহাবী আবু আউয়ুব আনসারী মহানবীকে বললেন,“হে রাসূলাল্লাহ,এ দু’জনের একজনকে কাঁধে বসিয়ে মসজিদে আনার জন্য আমাকে অনুমতি দিন।” মহানবী তখন বললেন,“এ দু’জনের বাহন কতই না সুন্দর! আর এরাও কত সুন্দর আরোহী! আর এদের পিতাও (আলী) এ দু’জন হতে উত্তম।”

■ বৈবাহিক জীবন । 
হযরত ইমাম হাসান (রা) বহু বিবাহকারী লোক ছিলেন। সব সময় চারজন স্বাধীন মহিলা তাঁর স্ত্রী হিসাবে থাকতেনই। তিনি বহু স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেছেন। তিনি সর্বমোট ৭০ জন মহিলাকে বিবাহ করেছিলেন। এমনও দিন যেত যে তিনি একদিনে দুইজন স্ত্রীকে তালাক দিতেন।

তাঁর পিত হজরত আলী (রা) কুফার লোকদিগকে বলতেন, “তোমরা মহিলাদেরকে হাসানের নিকট বিবাহ দিও না. কারণ সে একজন অতিশয় তালাক দানকারী পুরুষ”. উত্তরে তারা বলতো ” হে আমিরুল মুমিনীন! আল্লাহর কসম হজরত হাসান যদি প্রতিদিন আমাদের প্রত্যেক মহিলাদেরকে বিয়ে করতে চাইতেন তবে তাদের সকলকে তার সাথে বিয়ে দিতাম”.
তথ্যসূত্র: হাফিজ ইবনে কাছীর প্রণীত কিতাব আল-বিদায়া ওয়ান -নিহায়া ৮ম খন্ড ৮২ পৃষ্ঠা।

■ শাহাদাত বরণ করেন । 
ইয়াজিদ মদিনার গভর্নরের মারফত, ইমাম হোসাইন (রা:)কে এজিদের আনুগত্য স্বীকার করতে বলেন। কিন্তু হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৌহিত্র, আদরের নাতি, একজন সাচ্চা ঈমানদার হয়ে- একজন ইসলাম বিরোধী, জুলুমবাজ শাসকের আনুগত্য করা কী সম্ভব ? স্বাভাবিক ভাবে তিনি আনুগত্যে রাজী হয়নি।

তখন ইয়াজিদ মদিনার গভর্নরকে নির্দেশ দেন, বাইয়াত গ্রহণ না করলে ইমাম হোসাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে। মদিনার গভর্নর তখন ভীষণ বিপদে পড়ে যান। তিনি কিভাবে প্রিয় নবীজির নাতীকে কারাগারে নিক্ষেপ করবেন? তিনি তখন হযরত ইমাম হোসাইনকে অনুরোধ করেন মদিনা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে। ইমাম হোসাইন বাধ্য হয়ে তখন মক্কায় হিজরত করেন। এহেন অবস্থায় কুফাবাসী চিঠির পর চিঠি দিয়ে ইমাম হোসাইনকে কুফা যাওয়ার অনুরোধ জানান এবং ভরসা দেন যে, তিনি কুফা গেলেই সকলে তার বাইয়াত গ্রহণ করবেন।

এভাবে প্রায় দেড়শত চিঠি পাওয়ার পর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নিজের চাচাত ভাই হজরত ইমাম মুসলিম ইবনে আকিলকে তিনি কুফায় পাঠান। কুফাবাসী তাকে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হন এবং তার হাতে ইমাম হোসাইন (রা:) এর পক্ষে বাইয়াত গ্রহণ করা শুরু করেন। মুসলিম ইবনে আকিল এতে অত্যন্ত খুশি হয়ে বাইয়াত গ্রহণের বর্ণনা দিয়ে, হজরত ইমাম হোসাইন (রা:)কে স্বপরিবারে কুফা আসার জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠান। হজরত ইমাম হোসাইন (রা:) তখন পরিবারবর্গকে নিয়ে (৭২ জন সদস্য) কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।


THANK YOU ALL 

A N I ________


No comments

Powered by Blogger.