UNLUCKY 31" কথাটার মানে বুঝেন ?
A N I
ANWAR NURUL ISLAM
THE BING HUMAN AND COMMON SENSE
UNLUCKY 31" কথাটার মানে বুঝেন ?
ANWAR NURUL ISLAM
THE BING HUMAN AND COMMON SENSE
UNLUCKY 31" কথাটার মানে বুঝেন ?
■ UNLUCKY 31" কথাটার মানে বুঝেন ?
দক্ষিণ কোরিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর একটি। সেই দেশেও করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে দাবানলের মত। কিভাবে? একটু পিছে তাকিয়ে দেখা যাক। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে জানুয়ারির ২০ তারিখে, একজন ৩৫ বছর বয়স্ক নারী উহান থেকে সিউল বিমানবন্দরে অবতীর্ণ করলে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে সেলফ কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়। এর পরের এক মাসে গোটা দেশে মাত্র ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। সো ফার, সো গুড, তাই না? এক মাসে মাত্র ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছে, খারাপ না।
দক্ষিণ কোরিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর একটি। সেই দেশেও করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে দাবানলের মত। কিভাবে? একটু পিছে তাকিয়ে দেখা যাক। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে জানুয়ারির ২০ তারিখে, একজন ৩৫ বছর বয়স্ক নারী উহান থেকে সিউল বিমানবন্দরে অবতীর্ণ করলে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে সেলফ কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়। এর পরের এক মাসে গোটা দেশে মাত্র ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। সো ফার, সো গুড, তাই না? এক মাসে মাত্র ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছে, খারাপ না।
কিন্তু এরপর...
ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখে একজন মধ্যবয়স্ক নারী একটি ছোট ট্রাফিক এক্সিডেন্টে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ডায়গু শহরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ফেব্রুয়ারির ৯ এবং ১৬ তারিখে তিনি স্থানীয় এক চার্চে দুবার যান উপাসনায় অংশগ্রহণ করতে। এর মাঝে কিন্তু ১৫ তারিখে তাঁর জ্বর ধরা পড়ে, এবং ডাক্তাররা তাঁকে করোনাভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করতে পরমার্শ জানান এবং একই সাথে সেলফ আইসোলেশনে থাকার জন্যও। ডাক্তারদের পরামর্শ উপেক্ষা করে তিনি শুধু ১৬ তারিখে চার্চেই যান নাই, এরপর বন্ধুর সাথে এক রেস্তরাঁতেও যান লাঞ্চ বাফে খেতে।
ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখে একজন মধ্যবয়স্ক নারী একটি ছোট ট্রাফিক এক্সিডেন্টে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ডায়গু শহরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ফেব্রুয়ারির ৯ এবং ১৬ তারিখে তিনি স্থানীয় এক চার্চে দুবার যান উপাসনায় অংশগ্রহণ করতে। এর মাঝে কিন্তু ১৫ তারিখে তাঁর জ্বর ধরা পড়ে, এবং ডাক্তাররা তাঁকে করোনাভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করতে পরমার্শ জানান এবং একই সাথে সেলফ আইসোলেশনে থাকার জন্যও। ডাক্তারদের পরামর্শ উপেক্ষা করে তিনি শুধু ১৬ তারিখে চার্চেই যান নাই, এরপর বন্ধুর সাথে এক রেস্তরাঁতেও যান লাঞ্চ বাফে খেতে।
১৭ তারিখের মধ্যে ভদ্রমহিলার অবস্থার অবনতি হলে তিনি অবশেষে করোনাভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করান। ১৮ তারিখে ফলাফল আসেঃ পজিটিভ, এবং তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার করোনাভাইরাস রোগী নম্বর ৩১।
এর কিছুদিনের মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা রীতিমত জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ সেই চার্চেরই সদস্যা, যেখানে রোগী নম্বর ৩১ একবার নয়, দুবার গিয়েছিলেন।
এর কিছুদিনের মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা রীতিমত জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ সেই চার্চেরই সদস্যা, যেখানে রোগী নম্বর ৩১ একবার নয়, দুবার গিয়েছিলেন।
কোরিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার (কেসিডিসি) -র উপাত্ত অনুযায়ী, 'রোগী ৩১' যেই দুবার চার্চে গিয়েছিলেন, সে দুইবার মোট ৯,৩০০ জন মানুষ ছিলেন সেখানে, যাদের মধ্যে ১,২০০ জন পরবর্তীতে ফ্লু এর মত উপসর্গ ধরা পড়ে পরবর্তী দিনগুলোতে। রোগী ৩১ যেই রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন, সেখানে কত মানুষ ছিল, সেই হিসাব অবশ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া, এই একই চার্চের বেশ কিছু সদস্য জানুয়ারি ৩১ - ফেব্রুয়ারির ২ তারিখের মাঝে ডায়গুর কাছেই আরেক শহর চেওংডুর এক হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে।
এই ডায়গু আর চেওংডু, এই দুই শহরেই কিন্তু সমগ্র দক্ষিণ কোরিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের ৮০ ভাগ অবস্থিত। যদি কেসিডিসির উপাত্ত সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে বলা যেতে প্রায় এই যে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস বিস্ফোরণ, তার পিছনে এই চার্চ, এবং বিশেষ করে রোগী ৩১ এর বিশাল হাত রয়েছে।
তাই একজন দুজনকে ছোট না ভেবে এখনই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।
অবহেলা না করে নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য, দেশের জন্য হলেও সবাই সতর্ক থাকুন ।
অবহেলা না করে নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য, দেশের জন্য হলেও সবাই সতর্ক থাকুন ।
THANK YOU ALL
A N I
A N I
No comments