প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া এবং এর চিকিৎসা
প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া এবং এর চিকিৎসা
■ প্রাককথা ।
সাধারণত নারীদেরই প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়ে থাকে। কিন্তু পুরুষদের প্রস্রাবে সংক্রমণ একেবারেই হয় না, তা নয়। কিছু রোগ ও সমস্যা পুরুষের প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে পুরুষের প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হয়। মেয়েদের অনেক সময় প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। এই প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টির জন্য দায়ী হল ব্যাকটেরিয়া। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ছত্রাক বা ফাঙ্গাসের কারণেও প্রস্রাবে জ্বালা হয়ে থাকে।
সাধারণত নারীদেরই প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়ে থাকে। কিন্তু পুরুষদের প্রস্রাবে সংক্রমণ একেবারেই হয় না, তা নয়। কিছু রোগ ও সমস্যা পুরুষের প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে পুরুষের প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হয়। মেয়েদের অনেক সময় প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। এই প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টির জন্য দায়ী হল ব্যাকটেরিয়া। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ছত্রাক বা ফাঙ্গাসের কারণেও প্রস্রাবে জ্বালা হয়ে থাকে।
সারা দিনে আমরা যত পানি খাই তা আমাদের কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রনালি দিয়ে মূত্র হিসেবে বেরিয়ে যায়। প্রস্রাবে ইনফেকশন নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে হলেও নারীদের মধ্যে এ ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
■ পুরুষের প্রস্রাবে সংক্রমণ ।
【1】 অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মূত্রথলির নমনীয়তা নষ্ট হয়।
【2】 যাদের মুসলমানি হয়নি এবং যারা অস্বাস্থ্যকর যৌনকর্মে অভ্যস্ত, তাদের প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
【3】 বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থি আকারে বড় হতে থাকে এবং এটি মূত্রথলির মুখে চাপ সৃষ্টি করে। ফলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়, প্রস্রাব করার পরও কিছু থলিতে জমে থাকে। এই জমে থাকা প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতা বেশি।
【4】 কিডনি, মূত্রনালি বা মূত্রথলির কোনো জায়গায় পাথর হলে, মূত্রতন্ত্রে কোনো শল্যচিকিৎসা করা হলে কিংবা কোনো কারণে ক্যাথেটার লাগানো হলে প্রস্রাবে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। স্ট্রোকের পরও এই সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
【1】 অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মূত্রথলির নমনীয়তা নষ্ট হয়।
【2】 যাদের মুসলমানি হয়নি এবং যারা অস্বাস্থ্যকর যৌনকর্মে অভ্যস্ত, তাদের প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
【3】 বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থি আকারে বড় হতে থাকে এবং এটি মূত্রথলির মুখে চাপ সৃষ্টি করে। ফলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়, প্রস্রাব করার পরও কিছু থলিতে জমে থাকে। এই জমে থাকা প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতা বেশি।
【4】 কিডনি, মূত্রনালি বা মূত্রথলির কোনো জায়গায় পাথর হলে, মূত্রতন্ত্রে কোনো শল্যচিকিৎসা করা হলে কিংবা কোনো কারণে ক্যাথেটার লাগানো হলে প্রস্রাবে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। স্ট্রোকের পরও এই সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
■ পুরুষের প্রস্রাবে ইনফেকশন এর লক্ষণ |
【1】 সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব বা কাঁপুনি দিয়ে ঘন ঘন শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি।
【2】 প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা অনুভব করা ।
【3】 কিছুক্ষণ পরপর প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও পরিমাণে অল্প হওয়া ।
【4】 প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হওয়া ।
【5】 প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া ।
【6】 বমি ভাব বা বমি হওয়া ।
【7】 প্রস্রাব ঠিকমতো হয়নি এমন একটা বোধ হওয়া।
【1】 সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব বা কাঁপুনি দিয়ে ঘন ঘন শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি।
【2】 প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা অনুভব করা ।
【3】 কিছুক্ষণ পরপর প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও পরিমাণে অল্প হওয়া ।
【4】 প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হওয়া ।
【5】 প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া ।
【6】 বমি ভাব বা বমি হওয়া ।
【7】 প্রস্রাব ঠিকমতো হয়নি এমন একটা বোধ হওয়া।
■ প্রস্রাবে ইনফেকশনের কার্যকরী প্রতিকার ।
【1】 আনারসে আছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারি এঞ্জাইম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদেরকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়। তাই প্রশ্রাব বা ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খান।
【2】 প্রতিদিন অন্তত আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত।
【3】 ভিটামিন সি মূত্রথলীকে ভাল রাখে এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমাতে সহায্য করে তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
【4】 প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।
【5】 রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
【6】 স্বাস্থ্যকর যৌনাচার পালন করুন।
【7】 পানি পানের পরিমাণ বাড়ান |
পানি পানের পরিমাণ বাড়ালে প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়ার সমস্যা কম হবে। পানি শরীর থেকে দূষিত ব্যাকটেরিয়াগুলো বের করে দেবে। এটি প্রস্রাব ঠিকঠাক মতো হতে সাহায্য করবে।
【8】 দইয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া। এটি শরীরের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ দই খান।
【9】 এ ছাড়া প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা হলে তরল খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। যেমন ধরুন স্যুপ, জুস; পাশাপাশি পানিজাতীয় ফল ও সবজি খেতে হবে।
【10】 গরম চাপও দিতে পারেন। এতে ব্লাডারের চাপ কমবে এবং ব্যথা কমবে। এ জন্য আপনি হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন অথবা কোনো কাপড় তাপে গরম করে পেটে ব্যবহার করতে পারেন। একে তলপেটে পাঁচ মিনিট রাখুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার দিন। এভাবে কয়েকবার করুন।
প্রস্রাব করতে অস্বস্তি অনেকেরই হতে পারে। তবে আপনি যদি প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অনুভব করেন, তবে আপনার হয়তো ডিসইউরিয়ার সমস্যা হয়েছে। এই সমস্যায় প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি হয়। এটি কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। এটি নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই খুব প্রচলিত সমস্যা। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের সমস্যাটি বেশি হয়।
■ নারীদের প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার কারণ ও লক্ষণ ।
【1】মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছে থাকে। যার কারণে জ্বালাপোড়া সৃষ্টিকারী জীবাণু খুব সহজেই মূত্রনালীতে প্রবেশ করতে পারে ।
【2】 অনেক সময় মূত্রনালীতে যৌন সঙ্গমের কারণেও জীবাণু প্রবেশ করতে পারে । এসব জীবাণু মূত্রনালীপথে কখনো কখনো মূত্রথলি ও কিডনিতে প্রবেশ করে থাকে।
■ রোগের লক্ষণ |
【1】 প্রস্রাবের সময় জ্বালা-পোড়া করা ।
【2】 সেই সঙ্গে পিঠের পেছনে উদরের নিচে ব্যথা হয় ।
【3】 ঘনঘন প্রস্রাবের ইচ্ছে হলেও অল্প প্রস্রাব হয় ।
【4】 ঘোলাটে, গন্ধযুক্ত এবং রক্ত সমন্বিত পস্রাব হয় ।
【5】 যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব হয় ।
【1】মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছে থাকে। যার কারণে জ্বালাপোড়া সৃষ্টিকারী জীবাণু খুব সহজেই মূত্রনালীতে প্রবেশ করতে পারে ।
【2】 অনেক সময় মূত্রনালীতে যৌন সঙ্গমের কারণেও জীবাণু প্রবেশ করতে পারে । এসব জীবাণু মূত্রনালীপথে কখনো কখনো মূত্রথলি ও কিডনিতে প্রবেশ করে থাকে।
■ রোগের লক্ষণ |
【1】 প্রস্রাবের সময় জ্বালা-পোড়া করা ।
【2】 সেই সঙ্গে পিঠের পেছনে উদরের নিচে ব্যথা হয় ।
【3】 ঘনঘন প্রস্রাবের ইচ্ছে হলেও অল্প প্রস্রাব হয় ।
【4】 ঘোলাটে, গন্ধযুক্ত এবং রক্ত সমন্বিত পস্রাব হয় ।
【5】 যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব হয় ।
সমস্যাটি খুব বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
■ প্রতিকার ।
ঘরোয়া চিকিৎসায় প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া যন্ত্রণা কমতে দারুন কাজ করে।
উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী ।
১ চামুচ জিরা পাউডার, আদার রস দুই চামুচ, হাফ কাপ গরম পানি।
ব্যবহারের নিয়ম ।
উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। আদায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লমেটরি উপাদান। ফলে এটি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমায়। অন্যদিকে, জিরা পাউডারে থাকে কিউমিনালডিহাইড নামে একটি এনজাইম, যা ভেজাইনার প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমাতে দারুন কাজে আসে। তবে প্রতিদিন এই চিকিৎসা চালাতে হবে, না হলে কিন্তু তেমন ফল পাওয়া যাবে না।
ঘরোয়া চিকিৎসায় প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া যন্ত্রণা কমতে দারুন কাজ করে।
উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী ।
১ চামুচ জিরা পাউডার, আদার রস দুই চামুচ, হাফ কাপ গরম পানি।
ব্যবহারের নিয়ম ।
উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। আদায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লমেটরি উপাদান। ফলে এটি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমায়। অন্যদিকে, জিরা পাউডারে থাকে কিউমিনালডিহাইড নামে একটি এনজাইম, যা ভেজাইনার প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমাতে দারুন কাজে আসে। তবে প্রতিদিন এই চিকিৎসা চালাতে হবে, না হলে কিন্তু তেমন ফল পাওয়া যাবে না।
THANK YOU ALL
A N I
A N I
No comments