ফেসমাস্ক কখন এবং কিভাবে ব‍্যবহার করবেন



ফেসমাস্ক কখন এবং কিভাবে ব‍্যবহার করবেন 



■ কিছু কথা ।
চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিকার সেন্টারের প্রধান ফেং জিজিয়ান বলেন, গণপরিবহন কিংবা জনাকীর্ণ স্থানে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মূলত মানুষের স্পর্শেই ভাইরাস গুলো বেশি ছড়িয়ে থাকে। তাই গাড়ি চালানোর সময় কিংবা জনশূন্য এলাকায় মাস্ক ব্যবহার না করলেও সমস্যা নেই। মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি ভাইরাস ঠেকাতে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে কমপক্ষে বিশ সেকেন্ড সময় ধরে হাত ধুতে হবে । পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানানভাইরাস। প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী চাহিদা বেড়ে চলছে ফেস মাস্কের। ভাইরাস ঠেকাতে এশিয়ার পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হিড়িক পড়েছে ফেস মাস্ক কেনার। কোনো কোনো দেশে দেখা দিয়েছে মাস্ক সঙ্কট।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে এলে বা তার সঙ্গে হাত মেলালেও ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে যে কেউ। তাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রথমেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।


আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে এলে বা তার সঙ্গে হাত মেলালেও ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে যে কেউ। তাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রথমেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।


■ সার্জিক্যাল মাস্ক ।
ভাইরাস প্রতিরোধে অনেকেই ফেস-মাস্ক ব্যবহার করছেন। কিন্তু অনেকেই মাস্ক পরছেন ভুল পদ্ধতিতে। আবার অনেকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে কত সময় পর্যন্ত তাও নিশ্চিত নন। ডিসপোজেবল মাস্ক, যাকে সার্জিক্যাল ফেস মাস্কও বলা হয়। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের আশপাশে থাকা চিকিৎসক এবং হাসপাতালের নানান কর্মীরাও এটি ব্যবহার করেন। এটি চিকিৎসক এবং রোগী উভয়কেই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তবে এটি বাতাসের ছোট ছোট কণা আটকাতে পারে না। এই মাস্কগুলো মাত্র ৩ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি পরা উচিত নয় । সার্জিক্যাল মাস্কের দুটি অংশ থাকে। একটি অংশ হালকা নীল রঙের বা অন্যান্য রং যেমন-গোলাপিও হতে পারে এবং আরেকটি অংশ সাদা রঙের। নীল অংশটি হচ্ছে ওয়াটারপ্রুফ আর সাদা অংশটি ফিল্টার, যা ভেদ করে জীবাণু ঢুকতে পারে না। আপনি যদি সুস্থ ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং বাইরের ধুলাবালি ও রোগ জীবাণুর আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চান, তাহলে সাদা অংশটি বাইরে এবং নীল অংশটি ভিতরে দিকে দিয়ে পরিধান করুন। কেননা সাদা অংশ দিয়ে ফিল্টার করেই বাতাস ভেতরে ফুসফসে ঢুকবে। আর আপনি যদি ঠাণ্ডা, জ্বর, হাঁচি, কাশি বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত থাকেন, তখন নীল অংশটি বাইরে রেখে সাদা অংশটি ভেতরে ব্যবহার করবেন। এতে আপনার মুখ থেকে ক্ষতিকর কিছু বাইরে যেতে বাঁধা পাবে এবং অন্য কেউ সহজে আক্রান্ত হবে না।


সার্জিক্যাল মাস্ক এর সামনে নীল আর পেছনে সাদা রংয়ের থাকে। সুস্থ থাকলে শুধু দূষণ থেকে রক্ষার জন্য মাস্কটির সাদা রংয়ের অংশটি সামনে রেখে পড়তে হবে এবং অসুস্থ হলে মানে জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি হলে নীল রংয়ের রেয়ার দেয়া অংশটি সামনে রেখে মাস্ক পড়তে হবে।


■ সার্জিক্যাল মাস্ক কতবার ব্যবহার যোগ্য |
বেশির ভাগ মানুষই সাদা অংশটি মুখের ভেতরে রাখে এবং একই মাস্ক দিনের পর দিন ব্যবহার করতে থাকে। সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো, তবে তা ওয়ানটাইম ব্যবহার করতে হয়। বাজারে এক লেয়ারের মাস্কও পাওয়া যায়, যা ধুলা-ময়লা থেকে আমাদের বাঁচাতে পারলেও রোগ প্রতিরোধে কোন কাজই করে না। কাজেই সেগুলো ব্যবহার করা ঠিক নয়। কথা বলার সময় অনেকে মাস্ক পুরো না খুলেই কথা বলেন। এটা ভুল আসলে মাস্ক পুরোপুরি খুলেই কথা বলা উচিৎ। আরেকটি বিষয় হলো বাজারে এই মাস্কগুলো সস্তায় পাওয়া যায় ,এগুলো ব‍্যবহার করা কিছুতেই ঠিক হবে না ।


কথা বলার সময় অনেকে মাস্ক পুরো না খুলেই কথা বলেন। এটা ভুল আসলে মাস্ক পুরোপুরি খুলেই কথা বলা উচিৎ।


■ একটি মাস্ক কত সময় ব্যবহার করা যাবে |
খেয়াল রাখবেন, একটি মাস্ক একবারের বেশি ব্যবহার করবেন না। নিয়ম অনুযায়ী একটি মাস্ক ২ ঘণ্টার চেয়ে বেশি পরে রাখা যায় না। কোন কোন ভাল মানের মাস্ক একটানা ৮ ঘন্টার বেশি পড়া ঠিক না। কিন্তু আমাদের পক্ষে তো আর বার বার এই মাস্ক পরিবর্তন করা সম্ভব না। কাজেই সর্বোচ্চ এক দিন ব্যবহার করবেন এবং ব্যবহার শেষে যেখানে সেখানে না ফেলে রোগ জীবাণু যেন না ছড়ায় সেভাবে কাগজের প্যাকেটে মুড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিন।


■ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
【1】 অনেকে মাস্ক পরার সময় নাক খোলা রেখে শুধু মুখ ঢেকে রাখে। এটা কিন্তু ঠিক নয়। বরং ওপরের মেটাল অংশটাকে নাকের সঙ্গে চেপে ও নিচের অংশটাকে থুঁতনির নিচে নিয়ে উভয়ই ঢেকে রাখতে হবে।
【2】 অনেকে মাস্ক থুঁতনি পর্যন্ত খুলে রেখে কথাবার্তা বলেন। এটাও ঠিক নয়। এতে লেগে থাকা জীবাণু সহজেই দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
【3】 একই মাস্ক ঘরে রেখে দিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা উচিত নয়। নিয়ম হল, একটি মাস্ক সর্বোচ্চ একদিন ব্যবহার করে সেটাকে ধ্বংস করে দিতে হবে।
【4】 কথা বলার সময় অনেকে মাস্ক পুরো না খুলেই কথা বলেন। এটা ভুল আসলে মাস্ক পুরোপুরি খুলেই কথা বলা উচিৎ।
【5】 মাস্ক খোলার সময় মুখের সামনের অংশে হাত না দিয়ে কানের সাথে টেনে লাগানো অংশে টান দিয়ে খুলে ফেলে দিবেন।


THANK YOU ALL
A N I

No comments

Powered by Blogger.