হোম কোয়ারেন্টাইন কী ? কিভাবে থাকবেন হোম কোয়ারেন্টাইনে 

করোনা ভাইরাস সন্দেহে যে কাউকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্ত এই কোয়ারেন্টাইন কি? সেটা নিয়ে রয়েছে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। তাই অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চান না।

■ কোয়ারেন্টাইন এর অর্থ ।
কোয়ারেন্টাইন অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৃথক থাকা। তবে কোয়ারেন্টাইন মানে এই নয় যে, আপনাকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেয়া হলো। যদি কোনো ব্যক্তির করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে রাখতে এবং ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কিছুদিন আলাদা থাকতে বলা হয়।

■ হোম কোয়ারেন্টাইন তাঁর জন্য, যিনি এখনো পজিটিভ হননি। কেউ পজিটিভ হয়ে থাকলে তাঁদের হাসপাতালে আলাদা করার নাম আইসোলেশন।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৩৩ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৬ হাজারের বেশি। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৭ হাজার ৭৫৩ জন।

■ সময়কাল ।
সংক্রমিত ব‍্যক্তির সংস্পর্শে আসার কারণে বাধ্যতামূলক ভাবে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে । হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার সময় কাল 14 দিন। এই চৌদ্দ দিন একটি নির্দিষ্ট ঘরে সকলের কাছ থেকে আলাদা থাকতে হবে । স্কুল, কলেজ,উপাসনালয়, বাজার বা কোন প্রকার জামায়েতে যাওয়া যাবে না ।গনপরিবহণে উঠা যাবে না ।আলাদা বাথরুম, আলাদা বাসনপত্র, আলাদা জামা কাপড় ব‍্যবহার করতে হবে ।সব সময় জীবাণুনাশক দিয়ে রুম পরিস্কার করা লাগবে ।কারো সাথে সাক্ষাত করা যাবে না ।সাক্ষাৎ জরুরী হলে কম পক্ষে তিন ফুট দুরে থাকতে হবে । কারো সাথে কোলাকুলি কিংবা হাত মিলানো যাবে না ।

■ হোম কোয়ারেন্টাইনে আপনার করণীয় ।
【1】 নিজের বেডরুমে থাকুন। একা থাকুন।
【2】 সম্ভব হলে নিজের আলাদা টয়লেট ব্যবহার করুন।
【3】 নিজের তোয়ালে, গামছা, ব্যবহার করুন। নিজের বিছানা আলাদা রাখুন।
【4】 যথাসম্ভব সাক্ষাৎ এড়িয়ে চলুন, এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।
【5】 ঘন ঘন হাত ধুয়ে ফেলুন। যেসব জায়গায় বারবার স্পর্শের সম্ভাবনা আছে, সেগুলো দিনশেষে ভালো করে জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে ফেলুন । যেমন দরজার হাতল, কম্পিউটার, ফোন, টয়লেট ইত্যাদি।
【6】 অন্যের সঙ্গে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন।
【7】 যে কারও সামনে মাস্ক পরে থাকুন।

THANK YOU ALL
A N I