গরমে শরীরের জন্য উপযোগী টিপস

গরমে শরীরের জন্য উপযোগী টিপস ।

গরমে শরীরের জন্য উপযোগী টিপস 



■ গরমে সুস্থ থাকতে করণীয় ।
গরমে এখন সবারই ত্রাহি অবস্থা। এ সময় সুস্থ থাকতে হলে শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গরমে শরীর অল্পতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কোনো কাজ করতে গেলে আমরা হাঁপিয়ে উঠি। মন-মেজাজও খিটখিটে হয়ে ওঠে। এ সময় প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে।


ডাবের পানি কিংবা ফলের জুসও খেতে পারেন। স্যালাইন খেলেও ভালো।


এ সময় রোদ এড়িয়ে চলা দরকার। হাঁটার সময় ছায়াঘেরা স্থান দিয়ে হাঁটতে চেষ্টা করুন। পাতলা সুতির কাপড় পরিধান করুন। রোদে বের হলে মাথায় ক্যাপ পরুন। মেয়েরা রোদ প্রতিরোধের জন্য মাথায় শাড়ির আঁচল বা ওড়না দিতে পারেন। চোখে ভালো ব্র্যান্ডের সানগ্লাস ব্যবহার করুন। সানগ্লাস কেনার সময় ফ্যাশনের কথাই শুধু বিবেচনা করবেন না, তা দিয়ে যেন চোখসহ মুখের অনেকখানিই ঢাকে, সেদিকেও লক্ষ রাখুন। রোদে যাতে ত্বক পুড়ে না যায় সে জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩০-এর বেশি এসপিএফযুক্ত (সান প্রোটেকটিং ফ্যাক্টর) সানস্ক্রিন মুখে ব্যবহার করা ভালো। গরমে ঘামাচি একটি সাধারণ সমস্যা। গরমের সময় বিভিন্ন কারণে ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

প্রচুর পরিমাণ ঘাম তৈরি হয় বলে ঘর্মগ্রন্থি ফুটো করে অনেক পরিমাণ ঘাম ত্বকের নিচে জমা হয়। এতে জ্বালাপোড়াও হয়। এভাবে ঘামাচি বাড়তে থাকে। তেল বা নিুমানের লোশন ব্যবহারেও ঘামাচি বাড়ে। ঘামাচির হাত থেকে বাঁচতে বিশেষ ধরনের ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হলে হাউড্রোকর্টিসন (১ শতাংশ) ব্যবহার করুন।
গরমে পেটের বিভিন্ন রোগ হয়। এর মধ্যে ডায়রিয়া, জন্ডিস, টাইফয়েড অন্যতম। এ থেকে বাঁচতে পানি অবশ্যই ফুটিয়ে পান করুন। পানি ও খাবার থেকে রোগ ছড়ায়।
রাস্তার ধারের খাবার ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। বাইরে খেলে থালা-গ্লাস পরিষ্কার আছে কি না এবং খাবারটা টাটকা আছে কি না সেদিকে লক্ষ রাখুন।
রাস্তার পাশের গাজর, শসা, লাচ্ছি, আখের রস ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয়।
যে পানি দিয়ে এসব ধোয়া হয় বা যেসব পাত্রে এসব পরিবেশন করা হয় তাতে জীবাণু থাকার আশংকা থাকে। এ গরমে শিশুদেরও যতœ নিতে হবে।
এ সময় শিশুদের যথাসম্ভব ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন। সুতি ও ঢিলেঢালা জামা পরান। বেশির ভাগ শিশুর প্রচুর ঘাম হয়, তাই তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে দিন। পানি খেতে না চাইলে ডাব বা বিভিন্ন ফলের জুস বানিয়ে দিন। শিশুদের নিয়মিত গোসল করাতে ভুলবেন না। একটু সতর্ক হলে গরমের এই খরতাপের সময়টাও ভালোভাবে এবং নীরোগ শরীরে আমরা কাটাতে পারি।

■ গরমে শরীরের যত্ন নিন কফি দিয়ে ।
গরম কালে ঘাম, অতিরিক্ত রোদ, ডিহাইড্রেশনের কারণে শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। চোখে, মুখে ফুটে ওঠে সেই ক্লান্তির ছাপ। গরমের ক্লান্তি দূর এনার্জি ফিরিয়ে আনতে যেমন সাহায্য করে কফি, তেমনই ত্বকের ক্লান্ত ভাব দূর করে ত্বকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভাব ফিরিয়ে আনতেও উপকারি কফি। ত্বক মানে কিন্তু শুধু মুখের ত্বক নয়, সারা শরীরেরই যত্ন নিতে পারেন কফি দিয়ে।
★ কী ভাবে কফি ব্যবহার করতে পারেন ।

ফেস স্ক্রাব ও মাস্ক ।
৩ চা-চামচ টাটকা গুঁড়ো করা কফির সঙ্গে ১ কাপ দই মিশিয়ে নিন। যদি ত্বক খুব শুষ্ক হয়, তা হলে দইয়ের বদলে ফুল ফ্যাট দুধ ব্যবহার করুন। মিক্সারে ব্লেন্ড করে ৫ মিনিট রেখে দিন। মিশ্রণ ঘন হলে ১ চা চামচ মধু দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এই স্ক্রাব মুখে লাগিয়ে উপরের দিকে আঙুলের মোশনে ৫ মিনিট ম্যাসেজ করুন। তার পর ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। শুকনো করে মুখ মুছে ফেলুন। গোটা গরম কাল সপ্তাহে দু'দিন করুন।

বডি স্ক্রাব ।
এই স্ক্রাব তৈরি করা সবচেয়ে সহজ ও ব্যবহার করাও সহজ। সেলুলয়েড ও মরা চাম়ড়া দূর করতে সাহায্য করে। টাটকা গুঁড়ো করা কফি ও নারকেল তেল সমপরিমাণে মেশান। হাত, পা, পিঠে ভাল করে স্ক্রাব করুন। যদি দিনের বেলা স্ক্রাব করেন তা হলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন, রাতে হলে গরম জলে ধুয়ে নিন। নিয়মিত স্নানের আগে এই বডি স্ক্রাব ব্যবহার করুন।

ফুট স্ক্রাব ।
১ কাপ কড়া ব্ল্যাক কফি তৈরি করুন। এর মধ্যে ৪ টেবল-চামচ চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন। ড্রপারের সাহায্যে ৪ ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল দিয়ে ১-২ মিনিট রাখুন। এই মিশ্রণ দুই পায়ের পাতা, আঙুলের ফাঁকে, গোড়ালিতে ভাল করে মাসাজ করুন। হাল্কা গরম জলে ধুয়ে নিয়ে শুকনো করে মুছে নিন। এর পর ময়শ্চারাইজার হিসেবে কোকো বাটার মাসাজ করতে পারে।


■ গরমের ফল হিসেবে শশা খাওয়ার উপকারিতার ।
শশা খাওয়ার উপকারিতার কথা সকলেই জানি আমরা৷ শশা এমন একটা ফল যার ৭০ শতাংশই জল৷ তাই গরমে শরীর সুস্থ রাখতে রোজ শশা খাওয়ার পরামর্শ তো নিউট্রিশনিস্টরা দিয়েই থাকেন৷ শুধু তাই নয়৷ এই সময় রুক্ষ চুল ও শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিতেও শশা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷
গরম কালে আমাদের শরীর ভিতর থেকে শুকিয়ে যায়৷ যার প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলে৷ শশা আমাদের শরীর ও ত্বক হাইড্রেট করে৷ সবচেয়ে ভাল হয় যদি দই ও শশা একসঙ্গে খেতে পারে৷ দইয়ের প্রোবায়োটিক যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনই দই-শশার মিশ্রণ ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে৷
আবার শশায় সিলিকন ও সালফার থাকায় চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে শশা৷ গরম কালে রোদে চুলের আর্দ্রতা কমে যায়৷ আবার প্যাচপ্যাচে ঘামে চুল উঠে যাওয়ারও সমস্যা হয়৷ এই সময় তাই চুলের যত্ন নিতে রোজ শশা খাওয়া প্রয়োজন৷ একই ভাবে গরমে ঘুমের সমস্যা হলে বা অতিরিক্ত ক্লান্তিতে চোখের কোল ফুলে থাকে৷ শশায় থাকা ভিটামিন সি প্রদাহ কমিয়ে চোখের ফোলাভাব দূর করে৷



THANK YOU ALL.
A N I .

No comments

Powered by Blogger.