দৈনন্দিন জীবনে করণীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদীস শরীফ ।

THE ISLAMIC KNOWLEDGE AND STUDY. দৈনন্দিন জীবনে করণীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদীস শরীফ ।



A N I
19 JANUARY 2020
THE ISLAMIC KNOWLEDGE AND STUDY.
দৈনন্দিন জীবনে করণীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদীস শরীফ ।


■ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।
【1】 রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,“যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,» ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ « . (সুব্হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী)‘আমি আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি’, তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।[বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৫; মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১;

【2】 রাসূলুল্লাহ সঃ আরও বলেন, যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত বাণীটি ১০ বার বলবে,» ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ، ﻭَﻟَﻪُ
ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ « .(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই,সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” এটা তার জন্য এমন হবে যেন সে ইসমাঈলের সন্তানদের চারজনকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করল।”[ বুখারী ৭/৬৭ নং ৬৪০৪; মুসলিম,তার শব্দে ৪/২০৭১ নং ২৬৯৩;]

【3】 রাসূলুল্লাহ সঃ বলেছেন, “দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা যবানে সহজ, মীযানের পাল্লায় ভারী এবং করুণাময় আল্লাহর নিকট অতি প্রিয়। আর তা হচ্ছে,» ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ، ﺳُﺒْﺤﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ « .(সুব্হানাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী, সুব্হানাল্লা-হিল ‘আযীম)।‘আল্লাহ্র প্রশংসাসহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি।মহান আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি’।”[ বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৪;মুসলিম ৪/২০৭২, নং ২৬৯৪

【4】 রাসূলুল্লাহ সঃ বলেন,“সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার— সূর্য যা কিছুর উপর উদিত হয় তার চেয়ে এগুলো বলা আমার কাছে অধিক প্রিয়।”[ মুসলিম, ৪/২০৭২, নং ২৬৯ .

【5】 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমাদের কেউ কি প্রতিদিন এক হাজার সওয়াব অর্জন করতে অপারগ?” তাঁর সাথীদের মধ্যে একজন প্রশ্ন করে বলল, আমাদের কেউ কী করে এক হাজার সওয়াব অর্জন করতে পারে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,“যে ব্যক্তি ১০০ বার‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে, তার জন্য এক হাজার সওয়াব লেখা হবে অথবা তার এক হাজার পাপ মুছে ফেলা হবে।”[ মুসলিম ৪/২০৭৩, নং ২৬৯৮।6-“যে ব্যক্তি বলবে,» ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ (সুব্হানাল্লা-হিল ‘আযীম ওয়াবিহামদিহী)।‘মহান আল্লাহর প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি’— তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণকরা হবে।”[ তিরমিযী ৫/১১, নং ৩৪৬৪;হাকেম-১/৫০১ এবং এটাকে সহীহ বলেছেন। আর ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত হয়েছেন। দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৫/৫৩১; সহীহুত তিরমিযী ৩/১৬০


Plus store
Designed by anwar nurul islam.




【6】 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ওহে আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস! আমি কি জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব না?” আমি বললাম, নিশ্চয়ইহে আল্লাহর রাসূল।তিনি বললেন, “তুমি বল, » ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ «(লা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা- হ)।“আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার)কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার)কোনো শক্তি কারো নেই।” বুখারী, ফাতহুল বারীসহ১১/২১৩, নং ৪২০৬; মুসলিম ৪/২০৭৬,নং ২৭০৪

【7】 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ্র নিকট সর্বাধিক প্রিয় বাক্য চারটি, তার যে কোনটি দিয়েই শুরু করাতে তোমার কোনো ক্ষতি নেই। আর তা হলো,» ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُﺃَﻛْﺒَﺮُ « .(সুবহানাল্লা-হি ওয়ালহাম্দু লিল্লা-হি ওয়ালা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার)।“আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।আল্লাহ সবচেয়ে বড়।”[ মুসলিম ৩/১৬৮৫, নং ২১৩৭


【8】 এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, আমাকে একটি কালেমা শিক্ষা দিন যা আমি বলব। তখন রাসূল বললেন,“বল,» ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻛَﺒِﻴﺮﺍً،ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛَﺜِﻴﺮﺍً، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ، ﻻَ ﺣَﻮْﻝَﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰِ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢِ «(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, ওয়ালহামদুলিল্লা- হি কাসীরান, সুবহা-নাল্লা- হি রাব্বিল আ-লামীন, লা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা- হিল ‘আযীযিল হাকীম।) “একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়, অতীব বড়। আল্লাহর অনেক-অজস্র প্রশংসা। সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান।প্রবল পরাক্রমশীল ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার)কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার)কোনো শক্তি কারো নেই।”তখন বেদুঈন বলল, এগুলো তো আমার রবের জন্য; আমার জন্য কী? তিনি বললেন: “বল,» ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ، ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨِﻲ « .(আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়ারযুক্বনী) “হে আল্লাহ!আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে হেদায়াত দিন এবং আমাকে রিযিক দিন।” মুসলিম ৪/২০৭২, নং ২৬৯৬। আর আবূ দাউদ বর্ধিত বর্ণনা করেন, ১/২২০, নং ৮৩২: এরপর যখন বেদুঈন ফিরে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “লোকটি তার হাত কল্যাণে পূর্ণ করে নিল”।


【9】 “কোনো ব্যক্তি ইসলামগ্রহণ করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রথমে সালাত শিক্ষা দিতেন। অতঃপর এসব কথা দিয়ে দো‘আ করার আদেশ দিতেন,» ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮِ ﻟِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ، ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲ، ﻭَﻋَﺎﻓِﻨِﻲ ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨِﻲ« .(আল্লা-হুম্মাগফির লী ওয়ারহামনী ওয়াহদিনী ওয়া ‘আ- ফিনী য়ারযুক্বনী)।“হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে দয়া করুন, আমাকে আপনি হেদায়াত দিন, আমাকে নিরাপদ রাখুন এবং আমাকে রিযিক দান করুন।”[ মুসলিম ৪/২০৭৩; নং ৩৬৯৭। মুসলিমের অপর বর্ণনায় এসেছে, “এগুলো তোমার জন্য দুনিয়া ও আখেরাত সবকিছুর সমন্বয় ঘটাবে।”
【10】 “সর্বশ্রেষ্ঠ দো‘আ হল,» ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ «(আলহামদু লিল্লাহ) “সকল প্রশংসা আল্লাহরই”।আর সর্বোত্তম যিকর হল,» ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ « (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ)“আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”[ তিরমিযী ৫/৪৬২, নং ৩৩৮৩; ইবন মাজাহ্ ২/১২৪৯, নং ৩৮০০; আল-হাকিম, ১/৫০৩ এবং সহীহ বলেছেন,আর ইমাম যাহাবী তা সমর্থন করেছেন।আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ১/৩৬২

THANK YOU ALL.
A N I .

No comments

Powered by Blogger.