সর্দি-কাশি নিরাময়ের উপায়

COLD COUGH INITIATIVES | সর্দি-কাশি নিরাময়ের উপায় |

সর্দি-কাশি নিরাময়ের উপায়


■ OPENING |
সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া প্রচন্ড ঘাম, ঘাম নিয়ে এসির মধ্যে ঢোকা ,ফুল স্পিড ফ্যানের নিচে ঘুমানো, রাস্তার ধূলাবালি -এসব থেকে হতে পারে সর্দি-কাশি। প্রথমদিকে পাত্তা না দিলেও ধীরে ধীরে তা মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। তখন আবার এটি সারাতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়।কিন্তু খুব বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে তার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়। এ কারণে ঘরোয়া উপায়েই সর্দি-কাশি নিরাময়ের উদ্যোগ নিতে পারেন।

【1】 আদা চা ◆ সর্দি-কাশি দূর করতে আদা চায়ের জুড়ি মেলা ভার। আদা কুচি করে গরম পানি বা গরম চায়ে দিয়ে পান করুন। এতে সর্দি-কাশির সমস্যা একেবারেই দূর হবে।

【2】 তুলসী পাতা ও আদা ◆ এক কাপ পানিতে কয়েকটা তুলসী পাতা ও আদা কুচি ফেলে ফোটাতে থাকুন। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে এলে তা নামিয়ে রাখুন। এবার এই পানি দিনে অন্তত দু’বার পান করলে সর্দি-কাশি কমে যাবে।

【3】 দুধ ও হলুদ ◆ দুধ যে কোনো বয়সের জন্যই সমান উপকারী। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। হলুদে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা সহজেই সংক্রমণ রোধ করে। ফলে সর্দি-কাশির কষ্ট থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়।

【4】 লেবু ও মধু ◆ লেবু ও মধুর মিশ্রণটিও আদা চায়ের মতোই অত্যন্ত উপকারী। এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সর্দি-কাশি দূর হবে।

হাঁচি, কাশি সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, চোখ-নাক দিয়ে পানি পড়া এ সব শীতে খুব স্বাভাবিক সমস্যা। অসুখ করলে ওষুধ তো প্রয়োজনীয় বটেই, কিন্তু অসুখ হওয়ার আগেই তা রুখে দেওয়া সবচেয়ে ভাল উপায়। 

【5】 দারুচিনি-পানি ◆ দারুচিনি যে কেবল রান্নার স্বাদ বাড়াতেই ব্যবহার করা হয় এমন নয়, ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধেও এটি কাজ করে। দারুচিনি এমনিতেই প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎসও এই দারুচিনি।  গরম পানিতে কয়েক টুকরো দারুচিনি ফেলে তা ফুটিয়ে পান করুন। সাইনাস ও মাইগ্রেনের সমস্যাও কমিয়ে আরাম দেয় এই পানীয়।

【6】 মরিচ চা ◆ পিপারিন থাকায় গোল মরিচ শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই-ই নয়, গোল মরিচ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। গলা বসে যাওয়া, নাক বন্ধ ইত্যাদি সমস্যা থেকে আরাম যেমন দেয়, তেমনই ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতারও জোগান দেয় এই গোল মরিচ। তরিতরকারিতে মরিচ দেওয়া ছাড়াও শীতে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এ‌ই গোল মরিচ। প্রতি দিন মরিচ চা খেলে শীতে সুস্থ থাকবে শরীর। ভাল ফল পেতে এতে কিছুটা মধু মেশাতে পারেন।

【7】 আদা, লেবু ও মধু ◆ আদা যে সর্দি-কাশির মতো অসুখে কাজে আসে, তা অনেকেরই জানা। আদায় থাকা জিঞ্জারল, জিঞ্জারন প্রভৃতি উপাদান অ্যান্টিইনফ্লেমটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচতে  খুবই কাজে আসে আদা। এক কাপ পানিতে আদা কুচি ফেলে তা ফুটিয়ে নিন। এতে যোগ করুন লেবুর রস ও মধু। লেবু ও মধু দুই-ই প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। নিয়ম করে খালি পেটে এই পানীয় খেলে শীতের অসুখের হাত থেকে তো বাঁচবেনই, এ ছাড়া শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর। 

গরম-ঠান্ডার এই সময়ে হুট করেই ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সর্দির বিরক্তিকর যন্ত্রণা আর সেইসঙ্গে মাথাব্যথা তো রয়েছেই। আর সেখান থেকে একবার কাশি বসে গেলে তো কথাই নেই! যন্ত্রণার একশেষ যেন! 

【8】 মাশরুম ◆ যেকোনো খাবারে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ভিটামিন বি ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। শরীরকে রোগ প্রতিরোধক্ষম রাখতে ভিটামিন বি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাইরাসজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় মাশরুম।

【9】 কালোজিরার তেল ◆ সর্দি সারাতে কালোজিরার তেল ◆ খুব ভালো কাজে দেয়। তবে এই তেলে বেশ ঝাঁজ থাকে। কালোজিরার তেল না পেলে একটি রুমাল/কাপড়ে কালো জিরা নিয়ে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে নাক দিয়ে টানুন। এতেও সর্দি দূর হবে।

【10】 সরিষার তেল ◆ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাঁটি সরিষার তেল হাতে নিয়ে নিঃশ্বাসের সঙ্গে টানুন, নাভিতে, পায়ের তলায় ও মাথার তালুতে মালিশ করুন। সর্দি অনেকটাই সেরে যাবে।

■ ENDING |
সর্দি কাশি এমন এক রোগ যা একবার হয়ে গেলে আপনাকে ভোগাবেই । আপনি যতই ঔষধ সেবন করুন না কেন । তাই শীতের সময় খুব সতর্কতার সঙ্গে চলা ফেরা খাওয়া দাওয়া করতে হয় ।

THANK YOU ALL.
A N I .




No comments

Powered by Blogger.