শীত কালীন ফুল

THE BEAUTY OF WINTER FLOWERS | শীতের ফুল |


A N I |
15 | NOVEMBER | 2019 |
THE BEAUTY OF WINTER FLOWERS | শীতের ফুল |

THE BEAUTY OF WINTER FLOWERS 

শীতের হিমেল হাওয়ায় জড়সড় প্রকৃতি। তারপরও আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠে শীতের এক একটি রঙিন ফুল। কুয়াশার সাদা চাদর ভেদ করে মাথা উঁচিয়ে জানান দেয় তাদের সৌন্দর্যের উপস্থিতি।

বাংলাদেশের শীত মৌসুমের নিজস্ব ফুল কম হলেও বিভিন্ন দেশের ফুল চমৎকারভাবে মানিয়ে গেছে এদেশের পরিবেশের সঙ্গে। পরিকল্পিতভাবে ফুলের গাছ লাগাতে পারলে কনকনে শীত মৌসুমেও হেসে উঠবে বাগান, আনন্দে উৎফুল্ল হবে মন। চারদিক তখন বাহারি রঙের ফুটন্ত ফুলের আভায় হয়ে উঠবে রঙিন। ফুল যে স্বর্গীয় নান্দনিক সৌন্দর্যের আধার তখন তা স্পষ্ট ও সত্য হয়ে উঠবে।

শীতকালের ফুলের মধ্যে কয়েকটি ফুল এদেশে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে গাঁদা, ডালিয়া, কসমস, চন্দ্রমল্লিকা, সালভিয়া উল্লেখযোগ্য।



■ শীতে ভালো ফুল ফোটানোর টিপস | 
【1】 রোদেলা জায়গায় গাছ লাগান।
【2】 গাছে পানি দেওয়ার সময় শুধু গাছের গোড়ায় পানি না দিয়ে ঝাঁজরি দিয়ে গাছের ওপর থেকে বৃষ্টির মতো গাছ-পাতা ভিজিয়ে নিয়মিত হালকা পানি দিন। এতে গাছ বেশি সতেজ হবে।
【3】 গাছের চেহারা দুর্বল দেখা গেলে পরপর তিন-চার দিন এক ঝাঁজরি পানির মধ্যে দুই চা চামচ ইউরিয়া সার গুলে ওপরের নিয়মে সেচ দিন।
【4】 সরিষার খইল কয়েক দিন একটি পাত্রে ভিজিয়ে রেখে তা গুলে ১৫ দিন পরপর গাছের গোড়ার চারদিকে দিন। অন্তত কুঁড়ি না আসা পর্যন্ত দিন।
【5】 ফুল ফোটা শুরু হলে তখন থেকে ফুল-পাতা ভিজিয়ে পানি না দেওয়া ভালো।
【6】 গাঁদা ফুলের আকার বড় করতে চাইলে প্রথম কুঁড়িগুলো নখ দিয়ে খুঁটে ভেঙে দিন।
【7】 স্বাভাবিক সময়ের আগে গাছে কুঁড়ি এলে তা ভেঙে দিন।
【8】 গাছের গোড়া ভেজা থাকলে পানি দেবেন না।
【9】 প্রতি 10-15  দিন পরপর গাছের গোড়ার মাটি হালকা নিড়িয়ে/খুঁচে দিন।
【10】 ফুল শুকাতে শুরু করলে দ্রুত তা গাছ থেকে কেটে ফেলুন।
【11】 প্যানজি গাছের বয়স হলে ফুল ছোট হয়ে আসবে। এ অবস্থায় গোড়া থেকে ছেঁটে দিলে নতুন গজানো ডালে আবার ভালো ফুল ফুটবে।
【12】 অ্যান্টিরিনামের ভালো ফুল পেতে হলে শুধু মাঝের ডালটি রেখে অন্য সব ডাল কচি অবস্থায় ছেঁটে দেবেন।

■ কসমস ।
শীত মৌসুমের আরেক ফুল কসমস। আদি নিবাস মেক্সিকোতে হলেও বাংলাদেশিরা এ ফুলকে নিজেদের আপন করে নিয়েছে, যার কারণে বেশ জনপ্রিয় ফুলটি। গাছ ৯০ থেকে ১২০ সেমি বড় হয়। ফুল সাদা, লাল বা গোলাপি বর্ণের হয়।

■ কৃষ্ণকলি ।
বাংলাদেশের শীত মৌসুমের নিজস্ব ফুল। হাত দেড়েক উঁচু গাছে ফোটে ছোট ছোট ফুল, সাদা আর গোলাপি- এ দুই রঙের হয় ফুলটি।

■ গ্যাজানিয়া ।
আদি নিবাস দক্ষিণ আফ্রিকা হলেও বাংলাদেশের শীত মৌসুমের জনপ্রিয় ফুল এটি। লতানো। পাতা সরু, লোমযুক্ত। ফুল অনেকটা সূর্যমুখীর মতো। সাদা, লাল, কমলা, হলুদ রঙের ফুল হয়। পাহাড়ি এলাকায় এরা ভালো জন্মে।

■ পিটুনিয়া ।
আফ্রিকা ও আর্জেন্টিনার ফুল। তবে ক্রমেই বাংলাদেশের শীত মৌসুমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তা। ঘণ্টাকৃতির এক একটি ফুল ফোটে গাছের ডালে ডালে। সাদা, বেগুনি, গোলাপি রঙের ফুল ফোটে জাতভেদে।

■ গাঁদা ।
সবার পরিচিত ফুল গাঁদা। এটি বিদেশি ফুল। হলুদের নানা শেড, কমলা এবং লাল রঙের হয়। হলুদ গাঁদা আফ্রিকা থেকে এসেছে। আর কালচে লাল রঙের ছিটেফোঁটা দেওয়া গাঁদা, যাকে আমরা রক্তগাঁদা বলে জানি, সে মূলত দক্ষিণ আমেরিকার ফুল। পাপড়ির সংখ্যা ভেদে সিঙ্গেল ও ডাবল- দুই রকম গাঁদা পাওয়া যায়।

■ জিনিয়া ।
মেক্সিকোর ফুল। এটিও সিঙ্গেল ও ডাবল হয়। বাহারি রঙের হয় জিনিয়া। গোলাপি, সাদা, বেগুনি রঙের ছড়াছড়ি। দেখতেও ভারী মিষ্টি এই ফুল। ৪-৭ সেন্টিমিটার চওড়া হয়।

■ উপসংহার ।
বাংলাদেশে জন্মালেও শীতের অধিকাংশ ফুলের জন্মস্থান এদেশে নয়। মূলত শীতপ্রধান দেশ থেকে এনে এদেশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া হয়েছে। এসব ফুলের মধ্যে অন্যতম হল- ডালিয়া, ক্রিসেন্থেমাম, বাটন, কারনেশন, জিনিয়া, কসমস, পিটুনিয়া, হলিহক, এস্টার, সুইটপি, ফ্লকস্, পর্টুলেখা, ভার্বেনা___সবই অন্য দেশের ফুল। কবে কোন পুষ্পপ্রেমিকের চোখে পড়ে ফুলগুলো এদেশে এসেছে তা আজ অনেকটাই অজানা। তবে বিদেশী ফুলগুলো এদেশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে বলে আমাদের বড় সমাদরের ধন হয়ে উঠেছে।

THANK YOU ALL. 

A N I . 


No comments

Powered by Blogger.