STATE OF QATAR | دولة قطر | কাতার |

STATE OF QATAR | دولة قطر | কাতার |


A N I |
21 | NOVEMBER | 2019 |
A N I SUPER EXCITED ARTICLE |


STATE OF QATAR | دولة قطر | কাতার |
State of qatar | دولة قطر | কাতার |
◆ নাম : State of qatar . دولة قطر . কাতার .
◆ রাজধানী : দোহা
◆ দাপ্তরিক ভাষা : আরবি
◆ সাধারণ ভাষা : ইংরেজী
◆ জাতিগোষ্ঠী : 11.6% কাতারি , 88.4% বহিরাগত ।
25.0% Indian
15% Nepalese
12.1% Qatari
8% Bangladeshi
6.2% Somalis
4% Sri Lankan
3.8% Pakistani
52.5% Other
◆ ধর্ম : ইসলাম
◆ বিশেষণ : কাতারি
◆ শাসন ব্যবস্থা : বংশগত রাজতন্ত্র
◆ শাসক : তামিম বিন হামাদ বিন থানি
◆ সহকারী আমির : আব্দুল্লাহ বিন হামাদ বিন খালিফা আল থানি
◆ প্রধানমন্ত্রী : আব্দুল্লাহ বিন নাছের বিন খালিফা আল থানি
◆ আইন-সভা : পরামর্শমূলক সভা
◆ জাতীয় দিবস : 18 ডিসেম্বর । 1878
◆ স্বাধীনতা ঘোষণা : 1 সেপ্টেম্বর .(1971 )
◆ স্বাধীনতা অর্জন : সৌদি আরব থেকে ( 3 সেপ্টেম্বর 1971 )
◆ সম্পূর্ণ সিমানা : 11,581 km2 (4,471 sq mi) (158th)
◆ পানি ( %) : 0.8
◆ জনসংখ্যা : 2017 অনুসারে 2,641,669 (140th)
                : 2010 আদম শুমারি অনুসারে 1,699,435 (148th)
◆ ঘনত্ব : 176/km2 (455.8/sq mi) (76th)
◆ GDP ( PPP ) 2018 : সর্বমোট $357.388 billion
মাথা পিছু : $128,702(1st)
◆ Gini : 2007 41.1
◆ HDI : ( 2018 ) 0.856 very high · 37th
◆ মুদ্রা : কাতারি রিয়াল ( QAR RIYAL )
◆ Time zone : UTC+3 (AST)
◆ ড্রাইভিং পাশ : ডান
◆ কলিং কোড : +974
◆ ISO 3166 code : QA
◆ Internet TLD : .Qa

Wallpaper image, Agriculture information, Technology, health tips, songs lyrics,news,Honest review,sports,travel and tour guide,entertainment,poem,poet,top article,blog,art gallery,history,



■ সংক্ষিপ্ত বিবরণ ।
কাতার পারস্য উপসাগরের একটি দেশ। এটি আরব উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে উত্তর দিকে প্রসারিত কাতার উপদ্বীপে অবস্থিত। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব, এবং এর পশ্চিমে দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইন অবস্থিত। আরব উপদ্বীপের মত কাতারও একটি উত্তপ্ত ও শুষ্ক মরু এলাকা। এখানে ভূ-পৃষ্ঠস্থ কোন জলাশয় নেই এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের সংখ্যাও যৎসামান্য। বেশির ভাগ লোক শহরে, বিশেষত রাজধানী দোহা শহরে বাস করে। দেশটিতে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় মজুদ আছে। এই প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ১৯শ শতকের শেষভাগ থেকে আল-থানি গোত্রের লোকেরা কাতার অঞ্চলটিকে একটি আমিরাত হিসেবে শাসন করে আসছে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে দেশটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। 1971 সালে এটি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্তও এটি একটি তুলনামূলকভাবে দরিদ্র দেশ ছিল। ঐ সময় দেশটিতে পেট্রোলিয়ামের মজুদ আবিষ্কৃত হয় এবং এগুলি উত্তোলন শুরু হয়। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের হিসেবে কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি।

এখানে সাধারণ কোনো কিছুর জায়গা নেই, সবকিছুই ব্যয়বহুল আর বিশাল। এই হলো কাতার ।
■ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ।

প্রাগৌতিহাসিক কাতারে স্থায়ী জনবসতির কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। তবে প্রাগৌতিহাসিক কাল থেকে কাতারে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। প্রত্নতত্তবিদ ডে কার্ডির মতে, কাতারে প্রাণের অস্তিত্ব ছিলো। এখানের আবহাওয়া ছিলো বৃষ্টিবহুল, জলপ্রপাত, উচু ঘাস ও স্বচ্ছ পানির নালা ছিলো বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। আধুনিক ইতিহাসের জনক হেরাডোটাসের মতে, কাতারে 'কান্নানিয়ান' নামক জেলে সম্প্রদায়ের বসবাস ছিলো। এরা মাছ ধরার মৌসুমে অস্থায়ী অভিযান করে মাছ শিকার করত। খ্রিঃপূঃ 499-499 অব্দে পারস্য ও প্রাচীন গ্রিক সাম্রাজ্যের যুদ্ধের রেকর্ড হতে এ তথ্য পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে কাতারের বিভিন্ন প্রত্নতত্ত যেমন, মাটির বাসন, চকমকি পাথর, পাথর কাটার যন্ত্র বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়, এ কাতারের পূর্ব উপকূল রাস আব্রুখের সাথে মেসোপটেমিয়ান আল উবায়েদ গোত্রের ব্যবসা ছিলো। পরবর্তিতে টলেমির মানচিত্রে কাতারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যেখানে একে কাথারা ও এর একটি শহর কাদারা নামে দেখানো হয়।
ইসলাম পূর্ব যুগে কাতার আরব উপ দ্বীপের অন্যান্য দেশের মতোই পারস্যের 'শাসানী' রাজবংশের অধিনস্থ ছিলো। পরবর্তিতে সপ্তম শতকে সমগ্র আরব উপ দ্বীপে ইসলাম প্রসার লাভ করলে এ অঞ্চলও ইসলামের ছায়ায় চলে আসে। এ সময় বনু আমের বিন আবদ উল কায়েস, বনু সা'দ বিন যায়েদ মিনাহ বিন তামি্ম নামক বিভিন্ন গোত্রের বসবাস ছিলো। বর্তমান শাসক গোষ্ঠী আল-থানি, আ্ল তামিমিরই একটি শাখা। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলাম দক্ষিণ আরবীয় অঞ্চলে ইসলাম প্রসারে আলা আল হাদরামি কে প্রেরণ করেন ৬২৮ সালে। তখন কাতার অঞ্চলে শাসন করছিলো স্থানীয় বনু তামিম গোত্র। বনু তামিমের গোত্র প্রধান মুনযির বি্ন সাওয়া আল তামিমি ইসলাম গ্রহণে সম্মত হন এবং পরবর্তীতে অন্যান্য গোত্রে ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখেন।
ইসলামের প্রথম যুগে, কাতারে স্থায়ী বসবাস ছিলো। এছাড়া 'মুরওয়াব' নামক স্থানে একটি দুর্গ ও একশটির মতো পাথুরে বাড়ীর সন্ধান মিলে। এ সময় কাতারের মূল ব্যবসা মাছ এর পাশাপাশি উট ও ঘোড়া পালন ও বিক্রয় ও জনপ্রিয়তা লাভ করে। হাদীস থেকে জানা যায়, কাতারে এক ধরনের কাপড় তৈরি হতো উটের পশম থেকে। এটিও কাতারের অন্যতম ব্যবসায়িক আকর্ষণ ছিলো। উমাইয়া ( 661-750 খ্রী) ও আব্বাসীয় ( 750-1258 খ্রী) আমলে দামেস্ক ও বাগদাদ কেন্দ্রিক ব্যবসা গড়ে ওঠে। উমাইয়া আমলে এ অঞ্চল বিখ্যাত উট ও ঘোড়া ব্যবসার কেন্দ্রে পরিণত হয়। আব্বাসীয় আমলে মুক্তা ব্যবসার উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। কাতারি মুক্তার চাহিদা প্রাচ্যের দেশগুলোয় বেড়ে চলে, চীনেও কাতারি মুক্তার চাহিদা ছিলো।
পরবর্তীতে ব্যবসায়র প্রাণকেন্দ্র হয় দুইটি উপসাগর ও লোহিত সাগর। ষোড়শ শতকে কাতার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতার মুখে পড়ে। এ শতকের প্রথমার্ধ ছিলো মামলুকের অধিকারে। পরবর্তীতে মামলুকের প্রভাব কমে যাওয়ায় আরব অঞ্চলে অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয় উসমানীয় সালতানাত। এছাড়া, স্থানীয় শক্তি ছিলো হরমুজ। উসমানীয় সালতানাত মামলুককে সরিয়ে আরব অঞ্চলে অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। ইরানের সাফাভি রাজবংশ উসমানীয় থেকে বাগদাদ দখল করে। একই সময় স্প্যানিশ- পর্তুগীজদের হাতে মুসলিম ইউরোপীয় শক্তি আল আন্দালুসের পতন হয়। পর্তুগীজ নৌ শক্তি বিভিন্ন স্থানে প্রভাব বিস্তারে ছড়িয়ে পরে। এরা খুব অল্প সময়ে দূর্ধর্ষতার জন্য খ্যাতি অর্জন করে। 1509 সালে উসমানিয়া, মামলুক ও ভারতীয় মুসলিম রাজশক্তি মিলিত হয়ে পর্তুগীজদের দমনে শক্তি প্রয়োগ করেন। ইতিহাসে এটি তিন রাজার যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ যুদ্ধে পর্তুগীজ দের নৌবহরের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়।
আধুনিক কাতারের জন্মঃ কাতার ও বৃটিশ চুক্তি 1868 সালে বৃটিশ – আল থানি চুক্তির মাধ্যমে জন্ম লাভ করে আধুনিক কাতারের। 1868 সালের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে লুইস পেলি আল ওয়াকরায় মুহাম্মাদ আল থানি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে মিলিত হন। ১২ সেপ্টেম্বর 1868 সালে মুহাম্মদ বিন থানি চুক্তিবদ্ধ হতে সম্মত হন। বিষয় গুলো ছিলোঃ
【1】 দোহায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান করা।
【2】 সমুদ্রে অশান্তি সৃষ্টি হতে বিরত থাকা।
【3】 যে নিজেদের ও প্রতিবেশীর মাঝে সৃষ্ট যে কোন ধরনের সমস্যায় বৃটিশদের ফয়সালা গ্রহণ করা।
【4】 বাহরাইনের তৎকালীন আমীর আলি বিন খলিফার সাথে সুসম্পর্ক রাখা। 【5】 বাহরাইনের পূর্ববর্তী আমির মোহাম্মদ বিন খলিফাকে কাতারে পাওয়া গেলে তাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া।

সম্পদের প্রাচুর্যের সাথে যোগ হয়েছে শক্তিশালী বিনিয়োগ ব্যবস্থা আর আন্তর্জাতিক প্রভাব। কাতারের অভাবনীয় উন্নয়ন আসলেই প্রশংসার যোগ্য। কয়েক বছরের ব্যবধানে জেলেদের ছোট্ট গ্রাম থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হয় ।





■ প্রাকৃতিক সম্পদ ।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ধনী হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে এর সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদ। কাতারও এর ব্যতিক্রম নয়, মরুভূমির বালির নিচে লুকিয়ে থাকা বিশাল জ্বালানি ভান্ডারই কাতারের অর্থের যোগানদাতা । তবে, কাতারের শুধু তেলই নয়, আরো একটি সম্পদ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, আর তা হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। 1940 এর দশকে কাতারে সর্বপ্রথম তেলের খনি আবিষ্কার হয়, কিন্তু 1960 এর দশকেই তা প্রায় শূন্য হয়ে পড়ে। গরীব কাতারের ভাগ্যেরও সামান্য পরিবর্তন ঘটেছিল, কিন্তু খুব একটা বেশি নয়। সত্তরের দশকে শেল কোম্পানি দেশটির সবচেয়ে বড় সম্পদ আবিষ্কার করে: ‘দ্য নর্থ ফিল্ড’, বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র!
কিন্তু তখন প্রাকৃতিক গ্যাস খুব একটা লাভজনক ব্যবসা নয়। তখনকার দিনে গ্যাস শুধুমাত্র পাইপের মধ্যেই সরবরাহ করা সম্ভব ছিল, আর মধ্যপ্রাচ্যের কোণায় পড়ে থাকা কাতার তখন শিল্পোন্নত দেশগুলোর চেয়ে অনেক দূরে, যেখানে এই গ্যাস ব্যবহার করা হবে। শেল কোম্পানিও তাই এদিকে আগ্রহ দেখায়নি।
1995 সাল, হামাদ বিন খলিফা আল-থানি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার বাবার কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিলেন। তার একমাত্র লক্ষ্য এই বিশাল গ্যাস সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। আর আমির ঠিক তা-ই করলেন, গ্যাস তরলীকরণের গবেষণার উপর বিনিয়োগ করা শুরু করলেন। এর ফলে গ্যাস পরিবহণের জন্য আর পাইপের প্রয়োজন হবে না, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) সহজেই জাহাজের মাধ্যমে রপ্তানি করা যাবে, যেমনটা করা হয় তেলের ক্ষেত্রে। তবে গ্যাস তরল করতে হলে একে কমপক্ষে -১৬১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে। তাই কাতারের সামনে একটাই পথ, এই প্রযুক্তিকে আরো সহজলভ্য করা। গ্যাস তরলীকরণ প্রযুক্তিতে প্রচুর বিনিয়োগ করা শুরু হলো। আর এখন? কাতার বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ LNG রপ্তানিকারক রাষ্ট্র। গত বছরেই এশিয়ার সবচেয়ে শিল্পোন্নত ৪ রাষ্ট্র: চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপানে কাতার তাদের উৎপাদিত LNG-এর এক-তৃতীয়াংশ রপ্তানি করেছে। শুধু তা-ই নয়, কাতার এই প্রযুক্তিতে এতটাই বিনিয়োগ করেছে যে, তারা LNG এর উৎপাদন খরচ যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চারগুণ কমিয়ে নিয়ে এসেছে! অর্থাৎ বিশ্বের অন্যান্য যেকোনো দেশ ১ টন LNG উৎপাদন করতে যা খরচ করে, কাতার সেই পরিমাণ খরচ করেই কম করে হলেও ৪ টন জ্বালানি উৎপাদন করে!
কিন্তু শুধু সম্পদ থাকলেই তো হবে না, বরং সেটার সুষ্ঠু ব্যবহার আর সঠিক বিনিয়োগও প্রয়োজন। তা না হলে কাতারের অবস্থা ভেনিজুয়েলা কিংবা অ্যাঙ্গোলার চেয়ে ভিন্ন কিছু হবে না। সম্পদ ছাড়াও কাতারের উন্নয়নের পিছনে আরো কিছু জিনিস রয়েছে। আর সেগুলো হলো-
■ উপসংহার ।
প্রায় বাসের অযোগ্য, উপসাগরের মাছ বিক্রি করে পেট চালানো জেলেদের দুর্বল অর্থনীতি এখন রূপ নিয়েছে আলীবাবার গুহায়। বিশ্বের প্রতিটি কোণায় চোখে পড়বে কাতার সরকারের আর্থিক বিনিয়োগের চিত্র। আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিডিয়া কোম্পানি আল জাজিরার জন্মও হয়েছে এখানে, আর এরপর রয়েছে দোহা, গগনচুম্বী অট্টালিকা, শপিং মল আর বিলাসবহুল গাড়ির স্রোতে ভেসে যাওয়া কাতারের রাজধানী।

THANK YOU ALL.
A N I .

















No comments

Powered by Blogger.